এখন থেকে প্রয়োজনে কোনো বাণিজ্য সংগঠনে প্রশাসক নিয়োগ করতে পারবে সরকার। এমন সুযোগ রেখে ‘বাণিজ্য সংগঠন বিল-২০২২’ সংসদে পাস হয়েছে।
এতে বিদেশি ব্যবসায়ীদের নিয়ে দেশে যৌথ বাণিজ্য সংগঠন তৈরির সুবিধাও থাকছে।
মঙ্গলবার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর দেয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করা হয়।
বিলটি পাসের ফলে ১৯৬১ সালের ‘ট্রেড অরগানাইজেশন অর্ডিনেন্স’ বাতিল হয়ে যাচ্ছে।
বাণিজ্য সংগঠনকে সরকারের কাছ থেকে সনদ ও নিবন্ধন নিতে হবে বলে বিলে শর্ত দেয়া হয়। কোনো বাণিজ্য সংগঠন অথবা ফেডারেশনের আবেদন বা অভিযোগের প্রেক্ষিতে অথবা সরকারের স্বীয় বিবেচনায় কোনো নিবন্ধিত বাণিজ্য সংগঠন বা তার কোনো শাখা বা দপ্তরের কার্যক্রম, ব্যবসা, শিল্প, বাণিজ্য বা সেবাখাতের স্বার্থে সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে না মর্মে সরকারের কাছে প্রতীয়মান হলে এই আইনের আলোকে সরকার লিখিত আদেশ দিয়ে বাণিজ্য সংগঠনে নির্বাহী কমিটি বা পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করতে পারবে।
বাতিল করার পর এক বছরের জন্য সরকার একজন প্রশাসক নিয়োগ করতে পারবে।
বিলে বলা হয়েছে, প্রতিটি জেলায় নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আলাদা চেম্বার গঠনের সুযোগ থাকবে। বিলে বাণিজ্য সংগঠনে নারী উদ্যোক্তদের লাইসেন্সের মাধ্যমে সদস্য হওয়ার আইনি ভিত্তির বিধান রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক বা বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে এমন কোনো দেশ বা অঞ্চলে ব্যবসা শিল্প বা বাণিজ্য ও সেবা খাতে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য যৌথ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং একাধিক যৌথ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ সমন্বয়ে গঠিত চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ জোটের বিধান রাখা হয়েছে।
বিলে উল্লেখ করা হয়, অন্য দেশ থেকে বাংলাদেশে এসে বিদেশি ব্যবসায়ীরা একটি যৌথ চেম্বার করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মতামত নিতে হবে। বাণিজ্য সংগঠন ছাড়া কোনো সংগঠন বা কোম্পানি ‘ফেডারেশন’, ‘চেম্বার’, ‘কাউন্সিল’, ‘গ্রুপ’, ‘এলায়েন্স’ শব্দ ব্যবহার করতে পারবে না।
বিলে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি ট্রেড লাইসেন্সে উল্লেখ করা ব্যবসার শ্রেণি ছাড়া অন্য কোনো শ্রেণির সংগঠনের সদস্য হতে পারবে না। ট্রেড লাইসেন্সে উল্লেখ করা জেলা বা মেট্রোপলিটন চেম্বার ছাড়া অন্য কোনো চেম্বারের সদস্য হতে পারবে না।